২০২৩ সালের রোজার খাবার তালিকা | কি খাবেন কি খাবেন না?

প্রথমেই সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ যে অভ্যাসের আপনার প্রয়োজন তা হচ্ছে রমজান মাসের রোজার ইফতারি থেকে সেহরির সময় পর্যন্ত পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন।
কারণ একেতো একজন রোজাদার ব্যক্তির সারাদিন কোন কিছু পান্না করার পরে তার শরীরে এমনিতেই পানি স্বল্পতা দেখা দেয়, এরমধ্যে এবারের রমজান মাস সম্পূর্ণ গরম সময়ের এজন্য পানি পান করার কোনো বিকল্প নেই।
কিছু ছোট ইফতারি খাবারের লিস্ট আপনাদেরকে দিয়ে দিচ্ছি এখান থেকে আপনারা ইফতারি লিস্ট আকারে খাবার খেতে পারেন।
খাবার | ক্যালরি |
পিয়াজু ১ টা ছোট | ৫০ |
বেগুনী ১ টি বড় | ১৮০ |
হালিম ১ বাটি | ১৮০ |
কাবাব (১০০ গ্রাম) | ১৭০ |
কৃত্রিম শরবত | ৮০-১০০ |
বুন্দিয়া ১ কাপ | ৩৬২ |
- তবে রমজান মাসে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেসকল খাবার খেলে আপনার হজম সহজেই হবে সে সকল খাবার খেতে হবে। যেমন- লেবু, শশা, সোলা,শরবত,খেজুর ইত্যাদি সকল খাবার খাবেন।
- রমজান মাসে অনেক রোজাদারের একটি বদঅভ্যাস আছে যে রাতের বেলা বিরক্ত করে সেহেরির টাইমে সেহরি খেতে উঠে না এবং পরবর্তীতে তারা সেদিনই না খেয়ে সারাদিন রোজা রাখে।
- যার ফলে স্বাস্থ্যগত অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দেয় এটিই আমরা কিন্তু এড়িয়ে চলতে পারি খুব সহজেই এ জন্য চেষ্টা করবেন অবশ্যই সেহরির সময় কিছুনা কিছুনা খাবার খেয়ে সারাদিন রোজা রাখার।
- রোজাদারের জন্য ফাইবার খাবার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হতে পারে।
- এটি দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার ফলে যে সমস্যা দেখা দিতে পারে তা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে
- রমজান মাসে একজন রোজাদার সারাদিন রোজা থেকে তেল জাতীয় খাবার না খেয়ে,শাকসবজি জাতীয় খাবার খেলে স্বাস্থ্যের উপকার হবে।
- রমজান মাসের একজন রোজাদারের শারীরিক ব্যায়াম করা হয়তো সম্ভব হবে না, তবে অবশ্যই প্রতিদিন ইফতারের পর 10 থেকে 20 মিনিট পর্যন্ত হাঁটার চেষ্টা করুন তাতে হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
সর্বোপরি একটি কথাই বলবো রমজান মাস রহমতের মাস এই মাসে আপনি যদি নিয়ম-কানুন মেনে প্রতিটি রোজা আপনি সঠিক সময় পালন করে খাদ্যাভ্যাসের কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসেন তাহলে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে আর সবচাইতে বড় কথা রমজান মাসে আল্লাহ তাআলা রহমতের ফলে যারা রোজাদার তাদের শরীর-স্বাস্থ্য এমনিতেই সবকিছু ঠিকঠাক থাকে অন্যান্য মাসের তুলনায়।